২০২৩ সালে বাংলাদেশের Mobile Financial Services এর একযুগ পূর্ণ হলো। এই এক যুগে MFS আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে কাউকে টাকা পাঠাতে থেকে শুরু করে কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, এমনকি মোবাইলে রিচার্জ পর্যন্ত MFS এর মাধ্যমে করা হচ্ছে। আর এ কারণেই বর্তমানে দেশের MFS গুলোর মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের ২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের পরিমাণ ৬০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি, সেখানেই এই MFS গুলোর মাধ্যমে প্রতি বছরে বাজেটের চাইতেও বেশি অর্থ লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু ২০১০ সালের আগেও পরিস্থিতি কিন্তু এমন ছিলো না। সে সময় কাউকে টাকা পাঠানোর জন্য হয় সরাসরি যেতে হতো, না হলে ডাক বিভাগের মানিঅর্ডার কিংবা এসএ পরিবহনের মতো কুরিয়ার সার্ভিস এর উপর নির্ভর করতে হতো। আর এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোন থেকে যে কাউকে যখন খুশি তখন খুব সহজে টাকা পাঠিয়ে দেয়া যাচ্ছে, যার পুরোটাই সম্ভব হয়েছে MFS এর কারণে।
এমনকি দেশের প্রথম এবং একমাত্র Unicorn Startup এই MFS সেক্টরেই তৈরি হয়েছে। আজ আপনাদের জানাব বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেক্টর "বিকাশ" এর সম্পর্কে।
২০১০ সালের আগে বাংলাদেশের মানুষের জন্য অর্থ লেনদেন ছিল খুবই ভোগান্তির একটি বিষয়। কেননা তখন কাউকে টাকা পাঠানোর জন্য মানুষের ডাক বিভাগের মানিঅর্ডার কিংবা এসএ পরিবহনের মতো কুরিয়ার সার্ভিস গুলোর উপর নির্ভর করতে হতো। আর এভাবে টাকা পাঠানোর জন্য মানুষকে পায়ে হেঁটে কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে পোস্ট অফিসে পৌঁছে এক্সট্রা চার্জ দিয়ে টাকা পাঠাতে হতো। এরপর এই টাকা প্রাপকের কাছে পৌঁছাতে তিন দিন থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেত। যার কারণে অনেক সময় ইমারজেন্সি টাকা পাঠানোর জন্য হাতে হাতে টাকা পাঠানো লাগতো, যা অনেকক্ষেত্রেই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মতো ইউটিলিটি সেবার মাসিক বিল পরিশোধের জন্য মানুষকে ব্যাংকিং বা নির্ধারিত অফিসে গিয়ে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে বিল পেমেন্ট করা লাগতো।
২০১০ সালের আগে বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশই unbanked ছিল। বিশ্বব্যাংকের একটি তথ্যসূত্রে ২০১১ সালেও বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে financial influence এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। আর দেশে financial influence এর পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা MFS সেবা চালু করার অনুমোদন দেয়। এদিকে দেশে MFS সেবা চালু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ফেরত উদ্দোক্তা কামাল কাদের দেশের ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় কামাল কাদেরের প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এর যৌথ উদ্যোগে ২০১১ সালে দেশের দ্বিতীয় MFS বিকাশ এর যাত্রা শুরু হয়।
শুরু থেকে বাংলাদেশের মানুষ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা MFS নিয়ে খুব বেশি জানতো না বিধায় Customer Acojition বেশি ধীরগতিতে এগোতে থাকে। ফলে কাস্টমার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং দেশের মানুষদের এই সার্ভিস সম্পর্কে অবগত করে তা ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলতে তখন কোম্পানিগুলো বিশেষ করে বিকাশ সংবাদপত্র টেলিভিশন ও রেডিওতে বেশ কিছু Awareness Campaign & Advertisement পরিচালনা করে। এর পাশাপাশি প্লাটফর্মগুলো ক্যাশব্যাকসহ নানা ধরনের অফারগুলোর মাধ্যমেও Customer Acojition করার চেষ্টা চালিয়ে যায়।
তখন কাস্টমার এর সুযোগ-সুবিধাগুলো সম্পর্কে জানতে পারে এবং ব্যবহারে আগ্রহী হতে শুরু করে। দেশে MFS সেবার বাড়তে থাকে জনপ্রিয়তা দেখে এক পর্যায়ে দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলো এমএফএস সেবা প্রদানে আগ্রহী হয় এবং ৩১ টি ব্যাংকের সেবা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করে। লাইসেন্স নেওয়ার পর বেশকিছু ব্যাংক নিজস্ব MFS সেবা চালু করলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান তা করতে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠান MFS সেবা দিচ্ছে। এই MFS প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১টা ছাড়া বাকি ১৩টি প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। যেহেতু একজন ব্যক্তি একাধিক MFS এ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে, তাই বর্তমানে দেশে MFS একাউন্টের সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ইতোমধ্যেই financial influence এর আওতায় চলে এসেছে।
প্রথম আলোর একটি তথ্যসূত্রে দেশের MFS Industry তে ৭০% এরও বেশি শেয়ার এবং মোট ২০ কোটির মধ্যে ৭ কোটিরও বেশি একাউন্ট নিয়ে বিকাশ লিডিং পজিশনে রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের প্রথম ও একমাত্র ইউনিকন স্টার্টআপ হিসেবে দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি Valuation এর কোম্পানি হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করেছে বিকাশ। বর্তমানে MFS গুলোর মাধ্যমে দৈনিক তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া গ্রাহকরা প্রতিমাসের MFS এর মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকার বেশি মোবাইল রিচার্জ করছে। টাকা পাঠানো এবং বিভিন্ন ধরনের লেনদেন ছাড়াও বর্তমানে MFS এর মাধ্যমে সরকারি ভাতা ও বৃত্তি, বেতন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি, বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটা থেকে শুরু করে রেমিটেন্সও রিসিভ করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে MFS সেবা চালু করার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য ছিল অর্থলেনদেনকে আরো সহজ করে তোলা। কেননা মানি অর্ডার থেকে শুরু করে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন সেসময়ে দেশের মানুষের জন্য অনেক বেশি Hassle এবং Time consuming ছিল। এর বিপরীতে MFS গুলোর যে কেউই এজেন্টের দোকানে গিয়ে শুধুমাত্র মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিলে ইন্সট্যান্টলি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যেত। যা টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া কে অনেক সহজ করে দিয়েছে। অর্থাৎ MFS আসার পর মানুষকে পোস্ট অফিস বা কুরিয়ার কোম্পানিতে অফিসে যাতায়াতের যে খরচ হতো এবং যে পরিমাণ সময় নষ্ট হতো তা বাঁচানোর পাশাপাশি অর্থ লেনদেনের প্রক্রিয়াকে সহজ, নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত করেছে। আর এই প্রক্রিয়াকে সহজ করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে বিকাশ। প্রতিষ্ঠানটি টিভি, রেডিও ও নিউজপেপারে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের MFS এর ব্যবহার শেখানোর পাশাপাশি দেশব্যাপী বিস্তৃত এজেন্ট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটি শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামে সেবা বৃদ্ধির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কেননা বিকাশ শুরু থেকেই বুঝেছিল যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করলেও দেশের সিংহভাগই বাস করে বিভিন্ন গ্রামে। আর এই গ্রামের মানুষগুলোকে যদি MFS এর সুবিধা বুঝিয়ে ব্যবহারে অভ্যস্ত করা যায় তাহলে এই জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে দেয়া সম্ভব হবে।
ফান্ড ট্রান্সফার ছাড়াও পেমেন্ট সেক্টরে MFS বেশ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় সুপারস্টোর, লাইফ-স্টাইল শোরুম, ইলেকট্রনিক্স শোরুম থেকে শুরু করে ইউটিলিটি বিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি, বাস ও ট্রেনের টিকিটের দাম এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়। সুপারস্টোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শোরুম ও সুপার শপগুলোতে MFS এর মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য প্লাটফর্মগুলো শুরুতে গ্রাহকদের জন্য ক্যাশব্যাক ডিসকাউন্ট অফার করতো। এসব কারণে অফারের কারণে গ্রাহকরাও ধীরে ধীরে তাদের কেনাকাটার পেমেন্ট এর জন্য MFS ব্যবহার করতে শুরু করে। পরবর্তীতে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়ছে থাকলে অনলাইনে কেনাকাটার পেমেন্ট এর জন্যও MFS এর ব্যবহার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ ২০০৫-২০০৬ সাল থেকেই ই-কমার্স অপারেশনাল থাকলেও এ প্লাটফর্মগুলোর জন্য সঠিক পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল না। পেমেন্ট নিয়ে সমস্যর কারণে দেশে ই-কমার্সের গ্রোথও তুলনামূলক কম ছিল। ২০১১ সালে MFS আসার পর কমার্সগুলোর জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়। গত দশকের মাঝামাঝি থেকে ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স এর গ্রথে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি MFS গুলোও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একটা সময় গ্যাস, বিদ্যুৎ, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট করার জন্য ব্যাংকে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। একই রকম সমস্যা ভুগতে হতো স্কুল-কলেজের টিউশন ফি দেয়া এবং বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটা ক্ষেত্রেও।
স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভারসিটির টিউশন ফিও এখন MFS মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা বাস কিংবা ট্রেন স্টেশনে না গিয়ে ঘরে বসে দেশের যেকোন প্রান্তের ট্রেনের টিকেট কিনতে পারছে। আবার ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার বদলে মোবাইল অ্যাপ থেকে ঘরে বসেই যেকোনো সময় দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সিটি সার্ভিসের বিল পেমেন্ট করা যাচ্ছে, যা মানুষের সময় ও খরচ বাঁচিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া একটা সময় যেখানে দেশের অলিতে-গলিতে মোবাইল রিচার্জের দোকান দেখা যেত, কিন্তু MFS গুলো মোবাইল রিচার্জের সুবিধা দেয়ার পর থেকে গ্রাহকরা MFS এর মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। ফলে বর্তমানে এধরনের দোকান দেখা যায় না বলেই চলে। এমনকি বাংলাদেশের প্রতি মাসে এক হাজার কোটি টাকার মোবাইল রিচার্জ শুধুমাত্র MFS এর মাধ্যমেই সম্পন্ন হচ্ছে। এর পাশাপাশি এর মাধ্যমে বর্তমানে MFS এর কেনাকাটায় ইএমআই সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে। যেমন দেশের জনপ্রিয় দুটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও বাটারফ্লাই যেকোন প্রোডাক্ট EMI তে কেনা হলে মাসিক কিস্তি বিকাশের মাধ্যমে পে করার সুযোগ দিচ্ছে। ফলে গ্রাহকরা আরো সহজে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে।
এধরনের সুবিধার কারণে গ্রাহকদের এখন আর বড় অংকের ক্যাশ টাকা ক্যারি করতে হচ্ছে না এবং MFS গুলো গ্রাহকদের জন্য ওয়ালেট হিসেবে কাজ করছে। বেশকিছু MFS সরাসরি ব্যাংক এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে সহজে টাকা ক্যাশ ইন করা পাশাপাশি MFS অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাংকে কার্ডের টাকা ট্রান্সফার করার সুযোগ দিচ্ছে। যার কারণে ক্যাশ টাকা নিয়ে গ্রাহকদের এজেন্টের কাছেও যেতে হচ্ছে না। এধরনের কাজগুলোকে সহজ করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এই MFS সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর।
বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ গার্মেন্টস থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মীদের বেতন MFS এর মাধ্যমে দিচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স এর অর্থ MFS গুলোর মাধ্যমে ট্রানজেকশনের সুবিধা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে রেমিটেন্স গ্রাহককে আর সময় নষ্ট না করে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকে বিভিন্ন ফর্মালিটিস পূরণ করে টাকা তোলার পরিবর্তে বাসার আশেপাশে যেকোন MFS এজেন্টের দোকান থেকে মুহূর্তের মধ্যে টাকা তুলে ফেলা যাচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে সরকারি সকল ধরনের ভাতা ও বৃত্তির টাকা MFS এর মাধ্যমে পে করা হচ্ছে। যার কারণে এসব ভাতা ও বৃত্তির টাকা সরাসরি সঠিক প্রাপকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং পুরো প্রসেসকে করেছে hassle free. এর পাশাপাশি এসব বৃত্তির টাকা MFS এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ফলে সরকারের অনেক টাকা বেঁচে যাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে এসেছে। এসব সুবিধার পাশাপাশি এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের বিল থেকে শুরু করে এবং ইন্সুরেন্স বীমার টাকাও জমা করতে পারছে।
আবার একমাত্র বিকাশের মাধ্যমে গ্রাহকরা মাইক্রোলোন নিতে পারছে। অর্থাৎ এক অ্যাপ দিয়ে সব financial activity সম্পন্ন করতে পারছে। ফলে বাংলাদেশে এর ব্যবহার বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিনিয়তই বাড়ছে। বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরিভাবে ক্যাশলেস ইকোনমি হওয়ার অবস্থানে পৌঁছাতে না পারলেও MFS গুলোর কারণে দেশে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই ক্যাশলেস লেনদেন সম্ভব হচ্ছে। এমনকি MFS সেক্টরের এই গ্রোথ অব্যাহত থাকলে দ্রুতই বাংলাদেশের অর্থনীতি এই কার্ডলেস অর্থনীতিতে রুপান্তরিত হবে।